সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে একসাথে কাজের আহ্বান শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, রোগীদের চরম ভোগান্তি বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সুনামগঞ্জে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত নদ-নদীর পানি বাড়লেও হাওরে পানি কম বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে অধিকার’র মানববন্ধন ভাটির হাওরে ক্ষেতমজুররাই নব্য উৎপাদক শক্তি

হাওরকে হারানো ঐশ্বর্য ফিরিয়ে দিতে হবে, তবেই ফিরবে পরিযায়ী পাখিরা

  • আপলোড সময় : ২৩-১২-২০২৪ ০৯:৪৯:২১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-১২-২০২৪ ০৯:৪৯:২১ পূর্বাহ্ন
হাওরকে হারানো ঐশ্বর্য ফিরিয়ে দিতে হবে, তবেই ফিরবে পরিযায়ী পাখিরা
হাওরকে হারানো ঐশ্বর্য ফিরিয়ে দিতে হবে, তবেই ফিরবে পরিযায়ী পাখিরা বিস্তারিত বলার অবকাশ নেই। কেবল বলি শীতকাল যথারীতি এসে গেছে এবং ইতোমধ্যে পৌষ মাসের প্রথম সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে এবং শীত পুরোদমে হামলে পড়েছে। বাংলাদেশে হালকা শীত পড়ে অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে এবং তখন থেকেই পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করে দেশের হাওরগুলোতে, বিশেষ করে টাঙ্গুয়ার হাওরে। গতকালের (২৩ ডিসেম্বর ২০২৪) একটি দৈনিকে সংবাদ শিরোনাম করা হয়েছে, ‘হাওরে আসেনি অতিথি পাখি’। লিখা হয়েছে, “পরিযায়ী পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত ছিল সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলায় বিস্তৃত টাঙ্গুয়ার হাওর। কিন্তু এই বছর টাঙ্গুয়ার হাওরে এখনো আসেনি কোনো পরিযায়ী পাখি। ইউনেস্কোর ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য, বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট এই টাঙ্গুয়ার হাওর। সুদূর সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি আসতো হাওরটিতে। সাধারণত প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিকে হালকা শীতের আমেজ শুরু হতেই টাঙ্গুয়ার হাওরে পরিযায়ী পাখির আসা শুরু হয়। মাঘের শেষ পর্যন্ত থাকে তাদের এই পদচারণা। শীতে আসে, গরমে চলে যায় এ কারণে এদের বলা হয় অতিথি পাখি।” আমরা টাঙ্গুয়াকে ‘ইউনেস্কোর ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য, বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট’ করে নিয়েছি বটে কিন্তু টাঙ্গুয়ার হাওরকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র বন্ধ করিনি। আমরা প্রমাণ করেছি, আমরা জাতি হিসেবে আত্মহত্যাপ্রবণ। যে-টাঙ্গুয়ার হাওর আমাদের মায়ের মতো জীবন চালানোর উপকরণ যোগায়, তার বুকে বসে মুখে মারতে আমরা অভ্যস্ত। আমরা বুঝি না যে, হাওর মারা গেলে আমরা নিজেরাও মরবো, বাঁচতে হলে উদ্বাস্তু হতে হবে। কয়েক বছর আগেও শীতের শুরুতেই প্রচুর সংখ্যক পরিযায়ী পাখির ভিড় জমে যেতো টাঙ্গুয়ার হাওরে, কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে। বলা হয়েছে, “কিন্তু এ বছর টাঙ্গুয়ার হাওরে এখনো আসেনি কোনো পরিযায়ী পাখি। এবার এই জলাভূমিতে শীত এসেছে, কিন্তু দেখা নেই পরিযায়ী পাখির, নেই পরিযায়ী জীবনের গান।” অভিজ্ঞ মহলের ধারণা : হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিযায়ী পাখিদের খাদ্যযোগানের স্বাভাবিক যোগ্যতা হারানোসহ একদিকে জাল ও ফাঁদ পেতে পাখি নিধনের ব্যাপকতা, অপরদিকে পাখির বিচরণের অনুকূল নৈসর্গিক নির্জনতা ভঙ্গকারী পর্যটনশিল্পের প্রসারের কারণে পরিযায়ী পাখিরা হাওরবিমুখ হয়ে পড়েছে। যেখানে বনসহ খাদ্যহিসেবে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের সঞ্চয় নেই, বরং আছে মরণফাঁদের বিস্তার, সেখানে কেন পাখি মরতে আসবে? সুতরাং পরিযায়ী পাখিদের বিচরণের জন্যে হাওরকে উপযুক্ত করে নিতে হলে হাওরকে হারানো ঐশ্বর্য ফিরিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত প্রাকৃতিক ভারসাম্যের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে হবে, পাখি মারা একদম বন্ধ করতে হবে, হাওরে পর্যটনের নামে হাওরের নির্জনতা ভঙ্গ করা বন্ধ করতে হবে, আর বন্ধ করতে হবে হাওরে প্রাণপ্রকৃতি বিনাশী কীটনাশকের ব্যবহার। তবেই ফিরবে পরিযায়ী পাখিরা অন্যথায় নয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স